সূরা তারাবি পড়ার নিয়ম ও নিয়ত সহ বিস্তারিত

Last Updated on 8 months by Shaikh Mainul Islam

পবিত্র রমজান মাসে সূরা তারাবি পড়ার বিধান আছে। আর তাই সূরা তারাবি পড়ার জন্য অনেকেই সূরা তারাবি পড়ার নিয়ম ও নিয়ত জানতে চান।

প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “সূরা তারাবি পড়ার নিয়ম ও নিয়ত । তারাবি নামাজের নিয়ম ও দোয়া” এ।

আরও পড়ুনঃ  রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি

আজকের পোষ্টে আমরা সূরা তারাবি নামাজ পড়ার নিয়ম, সূরা তারাবি নামাজের একক ও জামাতে নিয়ত অহ সূরা তারাবি নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।

সূরা তারাবি নামাজ পড়ার নিয়ম

সূরা তারাবি তিন ভাবে পড়া যায়। যে তিন ভাবে সূরা তারাবি পড়া যায় তা হচ্ছেঃএকা একা সূরা তারাবি

  • একা একা সূরা তারাবি পড়া,
  • জামাতে বা ইমামের পিছনে সূরা তারাবি,
  • নিজের ইমামতিতে নিজেই সূরা তারাবি,

বলে রাখা ভালো যে, আপনি সূরা তারাবি বা খতম তারাবি যেটাই পড়েন না কেন আপনি একই নিয়ত করবেন। নিয়তের মধ্যে খতম নাকি সূরা এটা উল্লেখ নাই।

তাই সূরা তারাবি বা খতম তারাবি যেটাই হোক নিচে উল্লেখিত নিয়ত সমূহ সব ধরনের তারাবি নামাজের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

১) আপনি যদি জামাতের সাথে সূরা তারাবি বা খতম তারাবি নামাজ পড়তে চান তাহলে আপনাকে ইমামের পিছনে দাড়িয়ে একজন মুসল্লি হিসেবে নামাজের নিয়ত করতে হবে।

২) আর আপনি একা একা তারাবি নামাজ পড়তে চান তাহলে নামাজে দাড়িয়ে একাকি তারাবি নামাজ আদায়ের নিয়ত করতে হবে। এবং

আরও পড়ুনঃ রোজার সময়সূচি ২০২৩ । সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

৩) আপনি যদি নিজে ইমামতি করিয়ে কাউকে সঙ্গে নিয়ে তারাবি নামাজ আদায় করতে চান তাহলে আপনাকে ইমামের ভুমিকা হিসেবে ইমামের নিয়ত করে সূরা তারাবি নামাজে নিয়ত করে মুসলিদের নিয়ে সূরা তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে।

এবার চলুন, তিনটি ভাগেই সূরা তারাবি নামাজের নিয়ত জেনে নেই। অর্থাৎ আপনি যদি সূরা তারাবিতে ইমামতি করেন তাহলে যে নামাজ পড়াতে যে নিয়ত করতে হবে।

বা আপনি কাউকে ইমামতি করালে যে নিয়ত করবেন এবং একা একা সূরা তারাবির নামাজ পড়লে যে নিয়ত করবেন টা জেনে নেওয়া যাক।

ইমাম হিসেবে সূরা তারাবি নামাজের নিয়ত

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি সূরা তারাবি নামাজ পড়ান অর্থাৎ, আপনার পিছনে এক বা একাধিক ব্যক্তি সূরা তারাবি নামাজ পড়ে তাহলে আপনাকে অবশ্যই নামাজের শুরুতে যে নিয়ত করতে হবে তা হচ্ছেঃ

ইমাম হিসেবে সূরা তারাবি নামাজের নিয়তঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআ-তাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তায়ালা, আনা ইমামুল্লিমান হাজারা অ মাইয়্যাফজুরু মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।

আরও পড়ুনঃ রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া (উচ্চারণ সহ বাংলা অর্থ)

বাংলা অর্থঃ আমি কেবলামুখি হয়ে দু’রাকাত তারাবির সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করছি (ইমামতি করে) আল্লাহু আকবার।

অর্থাৎ, তারাবি নামাজে যদি আপনি ইমাম হন বা ইমামতি করেন তাহলে সূরা তারাবির নামাজের শুরুতে এই নিয়ত করে আল্লাহু আকবর বলে হাত বাধতে হবে। আশা করছি বুঝতে পারছেন।

ইমামের পিছনে মুসল্লি হিসেবে তারাবি নামাজের নিয়ত

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি সূরা তারাবি জাআমতে পড়েন, অর্থাৎ কোনও একজন ইমামের পিছনে আপনি সূরা তারাবি নামাজ পড়ছেন তাহলে নামাজের শুরুতে আপনাকে যে নিয়ত করতে হবে তা হচ্ছে,

মুসল্লি হিসেবে সূরা তারাবি নামাজের নিয়তঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা-আলা রাক-আতাই ছালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তায়ালা ইকতেদাইতু বিহাজাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা-বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি কেবলামুখি ইমামের পিছনে দুই রাকাত তারাবির সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করছি – আল্লাহু আকবার।

অর্থাৎ আপনি যদি সূরা তারাবি ইমামের পিছনে পড়েন তাহলে আপনি তখন একজন মুসল্লি।

আর নিয়ত করার সময় নিয়তের মধ্যে উল্লেখ করতে হবে যে আপনি ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করছেন।

আশা করছি বুঝতে পারছেন।

একা একা সূরা তারাবি পড়ার নিয়ত

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি মসজিদে না গিয়ে কিংবা কোনও ধরনের জামাতে অংশগ্রহণ না করে নিজ বাসায় বা অন্য কোথাও একা একা সূরা তাররাবি পড়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আপনাকে একা একা সূরা তারাবি পড়ার নিয়ম অনুযায়ী নিয়ত করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ রমজানে সাহরি ইফতারিতে যা থাকা উচিত

সূরা তারাবি একা একা পড়া যাবে। এতে তারাবি পড়ার সাওয়াব পাবেন।

একা একা সূরা তারাবি পড়লে যে নিয়ত করে তারাবি শুরু করতে হবে তা হচ্ছেঃ

একা একা তারাবির নামাজ পড়ার নিয়তঃ نويت أن أصلي لله تعالى– ركعتين صلاة التراويح سنة رسول الله تعالى متوجها إلى جهة–  الكعبة الشريفة الله اكبر….

তারাবি নামাজের নিয়ত, বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াই-তু আন উসাল্লিয়া ল্লিলাহি তাআ’লা- রাকাআ’তাই সালাতিত্ত তারাবিহ সুন্নাতু রসুল্লিলাহি তাআ’লা, মুতাওয়াযজ্জিহান ইলা যিহাতিল কা-বাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।

তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলায়ঃ আমি কেবলামুখি হয়ে দু’রাকাত তারাবি -র সুন্নতে মু-য়াক্কাদা নামাজ আদায় করছি, আল্লাহু আকবার।

আপনি একা একা পড়লে শুধু মাত্র উপরে উল্লেখিত দোয়াটুকু পরেই সূরা তারাবি নামাজের নিয়ত করতে পারেন।

আশা করছি সূরা তারাবির নামাজ কিংবা খতম তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ত কড়া নিয়ে স্পষ্ট হয়েছে।

তারাবি নামাজের নিয়ত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

অনেকে মনে করেন যে, মুখে উচ্চারণ না করে তারাবি নামাজের নিয়ত না করলে তারাবি নামাজ হবে না।

আবার অনেকে মনে করেণন আরবিতে কিংবা একদমই নিয়ত না পড়লে তারাবি নামাজ হবে না।

নিয়ত সম্পৃক্ত আমাদের সকল পোষ্টে বলে আসছি যে,

হাদিস এবং জাতীয় অ আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলারদের মতে কোনও নামাজেই নিয়ত মুখে উচ্চারণ করার কিংবা মনে মনে পড়ার কনন বিধান নেই। তবে পড়লে পড়তে পারেন।

শুধু মাত্র নামাজ শুরুর প্রথম তাকবির উচ্চারণে শব্দ নিজের কান পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে।

আরও পড়ুনঃ রোজা ভঙ্গের কারণ, মাকরুহ, যখন রাখা লাগবে না

একমাত্র হজ ব্যতিত অন্য কোনও কিছুতেই নিয়ত পড়ার বিধান কোরআন হাদিসে নেই। তাই কোনও নামাজেই আপনি নিয়ত পড়বেন না।

নিয়ত মুখে পড়ার বিষয় না। নিয়ত করার বিষয়। বুকে ধারণ করার বিষয়।

আপনি যখন নামাজের উদ্দেশ্যে অজু করছেন, মসজিদে গেছেন, জায়নামাজে দাঁড়িয়েছেন এতেই আপনার নামাজের নিয়ত সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে বলে ইসলামিক স্কলাররা বলছেন এবং এটাই সত্য।

আর আরবি বা বাংলা নিয়তের কথা বললে বলবো যে, নিয়ত না করলেও হয়, তবে করলে ক্ষতি নেই।

আর আপনি আরবিতে নিয়ত করতে না পারলে বাংলাতে করবেন। এই বিষয়ে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। ইসলাম এই বিষয়ে মুমিনদের যথেষ্ট সহজ করে দিয়েছেন।

সবথেকে সঠিক হচ্ছে, মনের মধ্যে নামাজের নিয়ত নিয়ে আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করবেন এতেই হবে।

আবার, আপনি আরবিতে নিয়ত করলেন তার অর্থ জানলেন না, এতে আপনার নিয়ত ই হলও না। কারণ নিয়ত হচ্ছে সঙ্খল্প বা ইচ্ছা পোষণ করা। তাই নিয়ত করতে হবে মন থেকে।

যা একজন নামাজই ব্যক্তি মন থেকে করে থাকেন। মন থেকে নিয়ত করে বলেই তিনি নামাজে দাঁড়ান।

আশা করছি তারাবি নামাজের নিয়ম জানার আগে তারাবি নামাজের নিয়ত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

তারাবি নামাজের নিয়ম (শুরু থেকে শেষ)

প্রিয় পাঠক সূরা বা খতম তারাবি নামাজ পড়ার নিয়ম জানার আগে আমরা তারাবি নামাজের নিয়ত সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জেনে নিলাম।

এখন আমরা তারাবি নামাজ বা সূরা তারাবি নামাজের নিয়ম জানবো।

নিচে উল্লেখিত স্টেপ স্টেপ এর সাহায্যে আমরা সূরা তারাবি বা তারাবি নামাজের সম্পূর্ণ নিয়ম জানতে পারবো।

নামাজের নিওমের পরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানবো। যা আপনার জানা একান্ত জরুরি। চলুন তাহলে সূরা তারাবীহ পড়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক। নিচে স্টেপ বাই স্টেপ আকারে সূরা তারাবির নামাজের নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।

  • ইমামের পিছনে কিবলামুখি হয়ে দাঁড়াতে হবে।
  • ইমামের সাথে আল্লাহু আকবর বলে হাট বাধতে হবে।
  • ছানা পড়তে হবে। ইমাম শব্দ করে সূরা শুরু করার আগে ছানা শেষ করতে হবে।
  • এরপর ইমাম যখন সুরা ফাতিহা এবং এর সাথে মিলিয়ে অন্য সূরা পড়বেন তখন নিরব থেকে সেই তিলাওয়াত শুনতে হবে।
  • ইমামা যখন রুকুতে যাবেন এবং মনে মনে রুকুতে গিয়ে দোয়া পড়বেন তখন মুসল্লি হিসেবে আপ্নাকেও রুকুরতে গিয়ে দোয়া পড়তে হবে।
  • এর পর রুকু শেষ করে সিজদাহে যাওয়ার পরে সেখানেও ইমাম যখন মনে মনে সুভানা রব্বি আল আয়লা পড়বেন আপনাকেও তখন এই দোয়াটি পড়তে হবে। এভাবে প্রথম রাকাতে দুইটি সিজদাহ দিয়ে প্রথম রাকআত শেষ করতে হবে।
  • এরপর দ্বিতীয় রাকাতের জন্য তাকবির দিয়ে দাড়িয়ে আবার হাট বাধতে হবে। এরপর ইমাম যেটুকু সময়ে মনে মনে বিসমিল্লাহ পড়বেন আপনিও বিসমিল্লাহ সম্পূর্ণ পড়বেন।
  • এবারও ইমাম যখন তারাবি নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে সুয়ার ফাতিহা এবং অন্য সূরা পড়বেন তখন আপনি নিরবে তিলাওয়াত শুনবেন। কোনভাবেই নিজেও তিলাওয়াত কড়া যাবে না।
  • এবার প্রতহ্ম রাকাতের মতো রুকু সিজদাহ দিতে হবে। দুই সিজদাহ শেষে যখন আখেরি মোনাজাতে বস্তে হয় তকহ্ন ইমাম নিরবে যে দোয়াগুলো পড়েন সেগুলও আপ্নাকেও মনে মএন পড়তে হবে।
  • আখেরি বৈঠকে (আত্তাইহাতু, দরুদ শরিফ এবং দোয়া মাসুরা) পড়তে হবে। ইমাম যতক্ষণ এগুলি নিরবে পড়বেন আপনাকেও এই দোয়াগুলো পড়তে হবে।
  • সর্বশেষ ডানে এবং বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন।

তারাবি নামাজ সম্পর্কিত সতর্কবার্তা

প্রিয় পাঠক, আমাদের দেশে সূরা তারাবি কিংবা খতম তারাবি পড়ার ক্ষেত্রে ইমামদের তাড়াহুড়ো করতে দেখা যায়। যা একদমই ঠিক না।

নবীজি মুহাম্মদ (সাঃ) নামাজের ক্ষেত্রে এবং কোরআন পড়ার ক্ষেত্রে ধিরে স্পষ্ট ভাবে বুঝে পড়তে বলছেন।

তাই দ্রুত তারাবি পড়ার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। ইমামদের বুঝাতে হবে।

ইমামদের এই বিষয়গুলো বোঝা উচিত। তাদের উপর অনেক বড় দায়িত্ব। তারা নেতা হিসেবে ইমামতি করেন।

এভাবেই আপনি সূরা তারাবি নামাজ পড়বেন। আপনি একা একা তারাবি নামাজ পড়লে সম্পূর্ণ কিছু আপনাকে পড়তে হবে।

আর ইমামের পিছনে নামাজ পড়লে ছানা পড়ার পর থেকে সবই পড়তে হবে শুধু মাত্র যেখানে ইমাম শব্দ করে কিছু পড়বে ওইগুলো পড়া ব্যতিত।

সূরা তারাবি নামাজ সম্পৃক্ত FAQS

সূরা তারাবি কয় রাকাত পড়তে হয়?

তারাবি ৮/১২/২০ রাকআত পড়তে হয়। সূরা তারাবি কিংবা খতম তারাবি। তবে ২০ রাকআত পড়া উত্তম।

নবীজি আমাদের ২০ রাকাত পড়ার জন্য বলছেন বলে হাদিসে এসেছে। তাই সূরা বা খতম তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়া উত্তম।

নির্দিষ্ট সূরা দিয়ে সূরা তারাবি পড়তে হবে নাকি যে যে সূরা পারে তা দিয়ে পরলেই হবে?

সূরা তারাবি পড়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও সূরা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সূরা ফিল থেকে প্রথম দিকে সূরা নাচ পর্যন্ত পড়া হয়।

এর কারণ এই সুরাগুল ছোট এবং প্রায় সবার মুখস্ত। আর এখানে ১০ টি সূরা আছে দুই বার করে পরলেই ২০ রাকাত হয়ে যায়। হিসেবে সহজ হয়।

তবে আপনি সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো সূরা দিয়েই সূরা তারাবি পড়তে পারেন।

তারাবি পড়ার সময় নিয়ত মুখে পড়তে হয়?

না। কোনও নামাজেই নিয়ত মুখে পড়ার কোনও বিধান নেই। কারণ সমূহ এই পোষ্টের উপরের দিকে আছে। দেখে নিতে পারেন।

একা একা তারাকবি নামাজ পড়লে তা হবে?

হ্যাঁ। একা একা তারাবি নামাজ পড়া যায়। একা তারাবি নামাজ পড়লে নামাজ হয়।

তারাবি না পড়লে কি রোজা হয় না?

হয়, তারাবি নামাজ হচ্ছে সুন্নতে মুক্কাদাহ। আর রোজা হচ্ছে ফরজ ইবাদত। তাই রোজা রেখে তারাবি না পরলেও রোজা হবে।

তবে তারাবির নামাজ পড়া উচিত। তারাবি নামাজ পড়লে এর ফায়দা অনেক বেশী।

খতম তারাবি পড়লে বেশী সাওয়াব হয়?

এক রমজান মাসের সবগুলো তারাবির নামাজ আপনি খতম তারাবি হিসেবে পড়লে আপনি এক খতম, কোরআন খতমের সমান সাওয়াব পাবেন।

সূরা তারাবি পড়ার নিয়ম সম্পর্কে সর্বশেষ

প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে আমরা সূরা তারাবি নামাজের নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি।

তারাবি পড়ার নিয়ম এবং সূরা ও খতম তারাবি নামাজ সম্পর্কিত সকল বিষয়ে জেনেছি।

আরও পড়ুনঃ ঈদুল ফিতরে করণীয় বর্জনীয় সমূহ

আশা করছি, সূরা তারাবি বা খতম তারাবি সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনারা এখান থেকে জানতে পেরেছেন।

এরপরেও আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান।

ইসলাম ও রমজানের সকল বিষয়ে জানতে আমাদের ইসলাম ক্যাটাগরিতে ভিজিট করুন।

নিয়মিত আমাদের সকল পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সর্বশেষ আপডেট পেটে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ চোখ রাখুন।

19 thoughts on “সূরা তারাবি পড়ার নিয়ম ও নিয়ত সহ বিস্তারিত”

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.